নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা ভোমরা বন্দরে কাস্টম হাউজ বাস্তবায়ন শ্রমীকদের প্রাণের দাবীতে পরিনত হয়েছে। বঞ্চিত এ বন্দরের শ্রমীকদের রুটিরুজির নিশ্চয়তায় তারা চায় দ্রুত হোক কাস্টম হাউজ বাস্তবায়ন।
বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্টে কর্মরত রাজু জানান, কাস্টম হাউজ বাস্তবায়ন হলে ভোমরা স্থলবন্দর ও এর সাথে সম্পৃক্ত সকলের সুবিধা হবে। বর্তমানে এটি পূর্ণাঙ্গ বন্দর না। কাস্টম হাউজ বাস্তবায়ন হলে রাত দিন ২৪ ঘন্টাই গাড়ি ঢুকবে। এমনিতেই এখন গাড়ির জায়গা দিয়ে পারছেনা কাস্টম। তবে কাস্টম হাউজ বাস্তবায়ন হলে এখানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হবে। কর্ম সংস্থান বাড়বে বহুগুনে।
বন্দরের শ্রমীক হুমায়ূন কবীর জানান, ‘আগে থেকে এখন গাড়ি একটু বেশি ঢুকছে। তবে কাস্টম হাউজ হলে আরও বেশি ঢুকবে। আমরা আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো থাকবো।’
শ্রমিক সর্দার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভোমরায় পরিপূর্ন বন্দর হলে ও কাস্টম হাউজ প্রতিষ্ঠা হলে আমরা শ্রমিকরা টনের টাকা বেশি পাবো। কারণ এখন মাত্র ২০ থেকে ২৫ ধরনের পন্য আমদানি হয়। কিন্তু কাস্টম হাউজ প্রতিষ্ঠা হলে সকল ধরনের পন্য আমদানি করা হবে। বন্দরে বেশি পরিমানের গাড়ি লোড আনলোড হবে। ফলে আমাদের আয়ও বৃদ্ধি পাবে। আমরা ভালো থাকবো।’
আরেক শ্রমিক বলেন, ভোমরা স্থলবন্দরে ১০হাজার শ্রমিকের রুটি রুজির জায়গা। কাস্টম হাউজ হওয়া মানে গাড়ি বেশি আসবে। গাড়ি বেশি আসলে কাজও বেশি হবে। যেমন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে তেমনি আমরাও পরিবার নিয়ে ভালোভাবে চলতে পারবো। কাস্টম হাউজ যত দ্রুত চালু হবে ততই আমাদের সুবিধা বেশি হবে।