লম্বা থ্রোয়ের মাধ্যমে। বল থ্রোয়িংয়ে অসামান্য দক্ষতা আছে আলীরেজার। দেখা গেল, প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলাতে গিয়ে দলের সবাই নিচে নেমে এসেছেন। ঢুকে গেছেন নিজেদের অর্ধে। ওই সময় আচমকাই হাতের থ্রোয়ে বল প্রতিপক্ষের সীমানায় পাঠিয়ে দিতে পারেন আলীরেজা। ভালো ‘ফিনিশিং’য়ে গোলও পেয়ে যেতে পারে দল। ইরানের ক্লাব ফুটবলে এমনটা কিন্তু অনেকবারই ঘটেছে।
একজন গোলকিপারের এমন থ্রোয়ার হয়ে ওঠার পেছনে আছে সংগ্রামী এক জীবনের গল্প। ইরানের সারাব–ই–ইয়াসে জন্ম আলীরেজার। যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠার সময় রাখাল হয়ে পশু চরাতে হতো তাঁকে। সেই সময়ে দুটি খেলা ছিল কিশোর আলীরেজার খুব প্রিয়। একটি ফুটবল, আরেকটি ‘দাল পারান’। দাল পারান হচ্ছে, কে কত দূরে পাথর ছুড়ে মারতে পারে, সেই খেলা। ছেলেবেলার সেই পাথর ছোড়ার খেলাটিই পরে ফুটবলে ভীষণ কাজে লাগে আলীরেজার।
অবশ্য ফুটবলার হওয়ার কাজটিও সহজ ছিল না। ফুটবল খেললে পেট ভরবে না বলে বাবা তাঁর খেলা পছন্দ করতেন না। খেলার টানে তাই নিজের এলাকা ছেড়ে তেহরানে চলে গিয়েছিলেন তিনি। কেউ ছিল না রাজধানী শহরে। বেঁচে থাকার তাগিদে আলীরেজা কখনো রাস্তার পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করেছেন, কখনো রাতের পাহারাদারের চাকরি নিয়েছিলেন তিনি। পরে গাড়ি ধোয়ার কাজ আর পিৎজার দোকানের কর্মীও ছিলেন আলীরেজা। চাকরির বাকি সময়টা কাটাতেন ঘুম আর ফুটবল ক্লাবে অনুশীলন করে।